স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ৫নং কেরনখাল ইউনিয়ন পরিষদে অনুমোদিত চেয়ারম্যান প্যানেল নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিরোধ। স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদিত প্যানেলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য আপত্তি জানিয়েছেন ইউপি সদস্যদের একটি বড় অংশ। তারা অভিযোগ করছেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি বাদ দিয়ে অযৌক্তিকভাবে একটি স্বার্থান্বেষী মহলের ইশারায় এই চেয়ারম্যান প্যানেল অনুমোদন করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অনুমোদিত চেয়ারম্যান প্যানেলে রয়েছেন,
১। সেলিম মোল্লা, ইউপি সদস্য (৯নং ওয়ার্ড)
২। সেলিম মিয়া, ইউপি সদস্য (১নং ওয়ার্ড)
৩। রেহেনা পারভীন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য (১,২,৩নং ওয়ার্ড)।
ইউপি সদস্যরা বলছেন, এ প্যানেলের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই এবং তাদের মাধ্যমে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব নয়। বরং ইউনিয়নের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে বিভাজন আরও গভীর হবে।
অভিযোগপত্রে নয়জন ইউপি সদস্য স্বাক্ষর করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন—রেহেনা পারভীন, নূরজাহান, লাভলী, জয়নাল আবেদীন, সাইফুল ইসলাম, মোস্তফা কামাল, আলী আজ্জম, পরেশ চন্দ্র সরকার ও হাবিবুর রহমান।
তারা অভিযোগ করেছেন, চেয়ারম্যান প্যানেল গঠনের প্রক্রিয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মতামত উপেক্ষা করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে একপক্ষীয়ভাবে এ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত সদস্য সেলিম মোল্লা বলেন, আমরা নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন পেয়েছি। যারা আপত্তি তুলছেন, তারা আসলে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করতে চাইছেন। ইউনিয়নের উন্নয়ন ও জনসেবার কাজে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
অন্যদিকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহেনা পারভীন (১,২,৩নং ওয়ার্ড) বলেন, চেয়ারম্যান প্যানেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটা পরিষদে বিভাজন তৈরি করার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল হক জানান, আমরা অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, চেয়ারম্যান প্যানেলকে ঘিরে এ ধরনের বিরোধ ইউনিয়নের উন্নয়ন কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। প্রশাসন যদি দ্রুত সমাধান না দেয়, তাহলে স্থানীয় রাজনীতিতে উত্তেজনা আরও বাড়বে।